হেলদি বাদাম- খেজুরের মিল্কশেক
আমাদের সব মায়েদের একটি কমন অভিযোগ বাচ্চা দুধ খেতে চায়না। কিন্তু বাচ্চাদের মেধা বিকাশের জন্য দুধ অপরিহার্য। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর জন্য মায়েরা কতো কিছুই না করে থাকি।
আর তাই মায়েদের জন্য আজ নিয়ে এসেছি দুধের একটি সহজ এবং পুষ্টিতে ভরপুর ঝটপট রেসিপি।
আজ আমরা বানাবো বাদাম-খেজুরের মিল্কশেক। এই মিল্কশেকটি শুধু বাচ্চাদের জন্য নয় বরং পরিবারের সবার জন্য পুষ্টিগুনে ভরা একটি মিল্কশেক।
চলুন বানানো যাক মজাদার হেলদি বাদাম-খেজুরের মিল্কশেক :
যা যা লাগছে :
১.দুধ ২ কাপ
২. খেজুর ৪ টা
৩. মধু পরিমান মতো
৪. কাঠ বাদাম ৬-৭ টা
৫. কাজুবাদাম ৬-৭ টা
৬. পেস্তা বাদাম ৬-৭ টা
প্রস্তুত প্রনালি :
একটি বাটিতে সামান্য পরিমান দুধ নিয়ে তার মধ্যে কাঠ বাদাম, কাজুবাদাম বাদাম, পেস্তা বাদাম ১০ -১৫ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখি। এরপর ২ কাপ দুধ ভালোভাবে ফুটিয়ে গরম করে ঠান্ডা হবার জন্য অপেক্ষা করি।
অতঃপর একটা ব্লেন্ডারে ঠান্ডা হওয়া দুধ, ভিজিয়ে রাখা কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, খেজুর, এবং পরিমান মতো মধু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করি।
ব্যস রেডি হয়ে গেলো মজাদার হেলদি বাদাম – খেজুরের মিল্কশেক।
মিল্কশেক তো বানানো হলো এবার জেনে নেয়া যাক এর পুষ্টিগুন :
* দুধ এর পুষ্টিগুন : দুধকে আদর্শ খাদ্য বলা হয়। গরুর দুধে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন – এ,ডি,কে, ই রয়েছে।
উপকারিতা :
* দুধ শরীরে শক্তি সরবরাহ করে।
* দুধে থাকা ক্যালসিয়াম হাঁড়কে মজবুত করে।
* শিশুর মেধা বিকাশে সাহায্য করে।
* মানসিক চাপ দূর করে হার্টকে ভালো রাখে।
* এসিডিটির সমস্যা দূর করে।
* ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রন, ডায়াবেটিস এর সমস্যা, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
বাদাম এর পুষ্টি গুন : বাদামে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন- ই, সি, অ্যামাইনো এসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ওমেগা -থ্রি।
উপকারিতা :
* বাদাম মেধা বিকাশে সাহায্য করে।
* ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
* হার্টের নানান অসুখ থেকে রক্ষা করে।
* ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে।
* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করতে বাদাম সাহায্য করে থাকে।
* হাঁড় ও পেশিকে মজবুত করে।
খেজুরের পুষ্টিগুন : খেজুরে ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন – এ, বি, কে, আয়রন রয়েছে।
উপকারিতা :
* খেজুর শরীরে শক্তি যোগায়।
* খাওয়ার রুচি বাড়ায়।
* খেজুর রক্তশূন্যতা দূর করে।
* হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।
* চোখ ভালো রাখে।
* যকৃত সুস্থ রাখে।
মধুর পুষ্টিগুন : প্রাকৃতিক ৪৫ টি খাদ্য উপাদান রয়েছে মধুতে।
উপকারিতা :
* মধু হজমে সাহায্য করে।
* অনিদ্রা দূর করে।
* শরীরে তাপ ও শক্তি যোগান দেয়।
* রক্তশূন্যতা দূর করে।
* কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।
* ডায়রিয়ায় পানিশূন্যতা দূর করে।
* হাঁপানি, ফুসফুসের সমস্যা, এলার্জি জনিত ঠান্ডা, কাশি নিরাময় করে।
আজকের বানানো বাদাম- খেজুরের মিল্কশেক এর প্রতিটি উপাদান পুষ্টিগুনে ভরপুর। খুব সহজেই এবং কম সময়ে বানানো যায় এই মিল্কশেক টি।
তাই এক গ্লাস বাদাম- খেজুরের মিল্কশেক হতে পারে বাচ্চা থেকে শুরু করে পরিবারের সবার জন্য এক আর্দশ ড্রিংকস।